দেশজুড়ে

রেলপথ-রেলযাত্রা দুটোই অনিরাপদ রাজবাড়ীতে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট টু পোড়াদহ, রাজবাড়ী টু ফরিদপুর ও রাজবাড়ী টু ভাটিয়াপাড়া রেলপথে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ৯ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও একজন নারী। এসব ঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় ৭টি মামলা হয়েছে।

Advertisement

ট্রেন যাতায়াত নিরাপদ ভেবে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার মধ্যে দিয়েই রয়েছে রেলপথ। কিন্তু রেলপথে ৮৪টি রেল ক্রসিংয়ের বেশির ভাগেই নেই গেটম্যান। এছাড়া ওইসব ক্রসিংয়ের সংযোগ সড়কের অনেক স্থানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ডও নেই।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ মাসে রাজবাড়ীর বিভিন্ন রেলপথে অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২ জন, মার্চে ১ জন, এপ্রিলে ১ জন, মে’তে ১ জন ও জুনে ২ জন।

Advertisement

ট্রেনে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত অনেক নিরাপদ। কিন্তু সম্প্রতি সেই নিরাপদ মাধ্যম অনেকটাই দুর্ভোগের হয়ে উঠেছে। ট্রেনের সিট ও ফ্যানের অবস্থা ভালো না। এছাড়া বাথরুমও পরিষ্কার না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকে কাজের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। ট্রেনযাত্রা নিরাপদ ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন যাত্রীরা।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, জনগণ ও সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াতের জন্য সচেতন করতে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোহা. আকরব হোসেন জানান, রাজবাড়ীর বিভিন্ন রেলপথে ট্রেন দুর্ঘটনায় এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন। মূলত এ দুর্ঘটনাগুলো অসাবধানতার কারণে ঘটেছে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) কাজী ওয়ালিউল হক বলেন, রাজবাড়ীর রেলপথের বেশির ভাগ ক্রসিংয়ে প্রকল্প ভিত্তিক, অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে গেটম্যান রয়েছে। স্থায়ীভাবে ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগের জন্য নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফলাফল হলে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

Advertisement

রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস