দেশজুড়ে

যে রেলপথের প্রতিটি স্লিপারে সাজানো মৃত্যুফাঁদ

সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের কারণে বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা। কিন্তু নজরে আসছে না কর্তৃপক্ষের। এরই মধ্যে গত রোববারের রেল দুর্ঘটনায় আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে এই রেললাইন।

Advertisement

বিভিন্ন সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই রেল কর্তৃপক্ষের। দেশের নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার শীর্ষস্থানে রেলপথ থাকলেও আখাউড়া-সিলেট রেলপথের প্রতিটি স্লিপারে সাজানো রয়েছে মৃত্যুফাঁদ।

লক্কড়-ঝক্কড় রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে স্লিপারে নেই নাট-বল্টু। এমনকি বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে রেলসেতু।

সরজমিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল স্টেশনের ১ কিলোমিটার দূরে আউট সিগনাল এলাকায় খালের উপর একটি ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের ৮টি স্লিপারে যেখানে ৬৪টি নাট থাকার কথা সেখানে এই ব্রিজে নাট আছে ৩৫টা। এর পাশেই দুটি পাতের সংযোগস্থলে একটিতে নেই নাট-বল্টু। অন্য দুটি যেন খুলে না যায় তাই আটকানো আছে দড়ি দিয়ে।

Advertisement

অপরদিকে এই ব্রিজের পাশে একটানা ৩০টি স্লিপারের কোনোটাতেই নাট-বল্টু নেই। প্রতিটি স্লিপারের দুইপাশে দুটি করে পেরেক মেরে রাখা হয়েছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই এলাকায়।

রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে পারাবত, জয়ন্তীকা, পাহাড়িকা, উদয়ন, উপবন ও কালনী এক্সপ্রেস নামের ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন দুইবার করে ১২ বার আসা-যাওয়া করে। আর এই পথে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন অন্তত ২৫/৩০ হাজার যাত্রী।

স্থানীয় যুবক আবুল কালাম জানান, শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ২০টি ব্রিজ আছে যার অর্ধেকের বেশি সেতু বাঁশ দিয়ে মেরামত করা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেলের বিভিন্ন পর্যায়ে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

Advertisement

অতিরিক্ত সচিব মজিবুর রহমান জানান, কুলাউড়ার ঘটনায় ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এফএ/জেআইএম