জাতীয়

গণপরিবহনে ব্যবহৃত গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি

গণপরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

Advertisement

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সিএনজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে গণপরিবহনগুলো যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু করেছে। সিএনজি খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয়ের মধ্য দিয়ে শত শত কোটি কোটি লোপাট হচ্ছে। এই খাতে অবৈধ সংযোগ প্রদানকারী লাইনম্যান-পিয়ন থেকে শুরু করে এমডি পর্যন্ত কেজি দরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সর্বজনস্বীকৃত। এসব দুর্নীতিবাজদের বিচার না করে, অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ না করে, আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি খাতে প্রতি ঘনমিটারে মাত্র ৩ টাকা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ভাড়া নৈরাজ্য আরেক দফা উস্কে দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যহার বর্তমান ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ভারিত গড় ৭ দশমিক ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৮০ টাকা/ঘনমিটার নির্ধারণ করেছে কমিশন।

Advertisement

দাম বাড়িয়ে গৃহস্থালির ক্ষেত্রে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক চুলায় প্রতিমাসে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা।

রোববার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম এসব তথ্য তুলে ধরেন। কমিশনের এ আদেশ আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।

এএস/এমএসএইচ

Advertisement