রাজনীতি

ছাত্রদলে বড়ভাইদের প্রস্তাবে খুশি না ছোটরা

বয়সসীমা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদল নেতারা তাদের দাবি থেকে কিছুটা সরে গিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির কাছে দেওয়া প্রস্তাবে তারা বলছেন, ২০০০ সালের এসএসসি পাস করা প্রার্থীদের দিয়েই কাউন্সিল হোক, তবে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের দিয়ে কাউন্সিল উপলক্ষে একটি আহ্বায়ক কমিটি করতে হবে। আর এ কমিটি সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন করবে।

Advertisement

তবে নতুন এ প্রস্তাবে আন্দোলনকারী জুনিয়র নেতারা নাখোশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারীদের একজন জাগো নিউজকে বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করলে যারা আন্দোলন করেছে তাদের অনেককে কমিটিতে সম্মানজনক জায়গা দেওয়া যাবে না। আমরা একসাথে প্রায় দেড়শ ছাত্রনেতা আন্দোলন করছি, এখন আমাদের মধ্যে সিনিয়ররা তাদের সুবিধার্থে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।

আন্দোলনকারীদের আরেকজন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অভিভাবক দেশ নায়ক তারেক রহমানের কাছে আমাদের একটাই দাবি, বয়সসীমা তুলে দিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হোক। সেটা কাউন্সিলের মাধ্যমে হতে পারে বা উনি (তারেক রহমান) নিজেও গঠন করতে পারেন। কিন্তু আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে এতো সংখ্যক সক্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, ত্যাগী এসব নেতাকর্মী দলের সম্পদ। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের স্ট্যান্ডার্ড রক্ষার্থে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের সংখ্যা হতে পারে খুব বেশি হলে ৭/৮ জন। অথচ আন্দোলনকারী যোগ্য নেতাদের সংখ্য আরও অনেক বেশি।

Advertisement

এদিকে আজকের (রোববার) মধ্যে ছাত্রদলের চলমান সংকট নিরসন হবে আশা প্রকাশ করে আন্দোলনরত ছাত্রনেতাদের অন্যতম মামনু বিল্লাহ বলেন, আমরা নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। আমাদের দাবিতে আমরা অনড়। আমরা ধারাবাহিক কমিটি চেয়েছি। বিকল্প হিসেবে আহ্বায়ক কমিটির কথা বলা হয়েছে।

তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আহ্বায়ক কমিটি হলে সবাইকে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।

ইকতিয়ার কবির বলেন, আমরা গতকাল (শনিবার) একটা নতুন প্রস্তাব দিয়েছি যে, আমাদের মধ্যে যারা যোগ্য রয়েছে তাদের দিয়ে প্রয়োজনে বড় আকারের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হোক। যে কমিটি ছাত্রদলের আগামী কাউন্সিল পরিচালনা করবে। এখন দেখা যাক বৈঠকে কী হয়। তবে আশা করছি, আজকে আমরা একটা সমাধান পাব।

নতুন প্রস্তাবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মতভেদ থাকতে পারে, তবে সবাই আমরা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।

Advertisement

কেএইচ/আরএস/এমকেএইচ