টাঙ্গাইলের সখীপুরে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৪) ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মামাতো ভাই পারভেজ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার পারভেজ আহমেদ উপজেলার কালিয়াপাড়া ঘোনারচালা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
Advertisement
এর আগে শনিবার বিকেলে সখীপুরের একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে পারভেজ আহমেদকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই কিশোরীর মা জানান, মেয়েটি নানির বাড়িতে থেকে কলা বাগানে শ্রমিকের কাজ করে। মাস ছয়েক আগে দশম শ্রেণিতে পড়ূয়া মামাতো ভাই পারভেজ বাড়িতে একা পেয়ে দিনদুপুরে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয় পারভেজ। তিন মাস পর মেয়েটি তার শরীরে পরিবর্তন বুঝতে পারলেও লজ্জা ও ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। এক সপ্তাহ আগে শরীরে বড় রকমের পরিবর্তন দেখা দিলে মায়ের কাছে সব কিছু খুলে বলে সে। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় গোপনে সালিশি বৈঠক হলেও কোনো মীমাংসা না হওয়ায় মেয়ের মা আলট্রাসনোগ্রামের প্রতিবেদন সহকারে শনিবার সন্ধ্যায় সখীপুর থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটি নানির বাড়িতে থাকার কারণে ওর খোঁজ খবর বেশি একটা নিতে পারিনি। এ কারণেই আমাদের বিষয়টা বুঝতে একটু দেরি হয়েছে।
Advertisement
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দশম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ আহমেদ থানার ওসির কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ বিষয়ে ডিএনএ টেস্ট করার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় পারভেজকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করায় প্রথমে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রথমে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে পারভেজ ডিএনএ টেস্টের দাবি করলেও রাতে তার জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে। রোববার গ্রেফতার পারভেজকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/জেআইএম
Advertisement