রাত আড়াইটা। রাজধানীর মিরপুর রোডে যানজটে থমকে আছে শত শত যানবাহন। নিউ মার্কেট থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে গাউছিয়া চাঁদনী চক, হকার্স মার্কেট, নুরজাহান মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটে উপচেপড়া ক্রেতাদের ভিড়।
Advertisement
হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে এক অচেনা শহর। রাস্তার যানবাহন আর হাজার হাজার ক্রেতার সমাগম দেখে মনে হবে সারা রাতেও বুঝি বেচাকেনা শেষ হবে না।
এ দৃশ্যপট মঙ্গলবার দিবাগত পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের চাঁদ রাতের। ঈদুল ফিতর আজ (বুধবার) সরকারি ঘোষণায় কপাল খুলেছে ব্যবসায়ীদের। রাত সোয়া ১১টায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখা গেছে মন্তব্য করে ঘণ্টা দুয়েক আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষিত বৃহস্পতিবার ঈদ পালনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে এ ঘোষণা দেন।
Advertisement
ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজধানীর ফুটপাত থেকে ছোট বড় মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল অবধি মার্কেটগুলোতে স্বল্প সংখ্যক ক্রেতা সমাগমে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তবে তারা চাঁদ রাতে ভালো বেচাকেনা হবে সে আশা ব্যক্ত করেছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরও মার্কেটগুলোতে তেমন ক্রেতা ছিল না। রাত সোয়া আটটার দিকে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি এমন ঘোষণার পর মার্কেটগুলোতে ক্রেতা আরও কমে যায়। কিন্তু রাত সোয়া দশটার পর নতুন ঘোষণা আশায় বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকে।
শুধু মার্কেটগুলোতে এই নয়, মুদি বাজার, মুরগির আড়ৎ ও ফলের দোকানে বহু ক্রেতা ছুটে যান। রাত একটার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কাক ভেজা হয়ে অসংখ্য মানুষকে ঈদের শেষ মুহূর্তের বাজার করতে দেখা যায়। বিভিন্ন শপিংমলে অসংখ্য তরুণীকে চাঁদ রাতে হাতে মেহেদি পরতে দেখা যায়।
Advertisement
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বড় বড় কোম্পানির বাস অবস্থান করতে দেখা যায়। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, অনেকেই সারারাত মার্কেটে থেকে ফজরের নামাজের পর পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবেন। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিয়ে বাস ভাড়া করে এনেছেন বলে তারা জানান।
এমইউ/এমআরএম