ঘরে ফেরা যাত্রীদের টিকিটপ্রাপ্তিতে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগে রেলওয়েতে দ্বিতীয় দফা অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে ব্যাপক হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসের কার্যক্রম খতিয়ে দেখেন। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিন টিকিট বিক্রি ও সার্ভার রুম পরিদর্শন করে নানা অনিয়মের তথ্য পান এবং এ বিষয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে দুদক সূত্র জানায়।
Advertisement
দুদকের মতে, সিএনএসের কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে সিএনএসের ভূমিকা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না মর্মে টিম জানতে পারে।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর হতে পরিচালিত এ অভিযানে দুদক টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবৈধভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আবাসিক কক্ষ ও ডরমিটরি বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পান। ফলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের ইনভেনটরি তালিকার সাথে সংরক্ষিত ঔষধের অমিল পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিএসএফ প্রজেক্টের আওতায় দুস্থ ও প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০০০ টাকা কোনো রোগী না থাকলেও ভুয়া তথ্য দেখিয়ে আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। হাসপাতালের অভিযোগসমূহের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহপূর্বক কমিশনে অনুসন্ধানের সুপারিশ প্রদান করে রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে।
Advertisement
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। দুদক অভিযোগকেন্দ্র আগত এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল এক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দফতরের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রহমান পেনশন ফাইল, বেতন স্কেল পাস ইত্যাদিসহ নানাবিধ কার্যক্রমে অনৈতিকভাবে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন মর্মে টিম প্রাথমিকভাবে তথ্য পায়। অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিশনে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্য, ইজারা প্রদান, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, বিআরটিএ, ভূমি অফিস, জেলখানা ইত্যাদি সংস্থার নানাবিধ অনিয়ম-হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য বরিশাল, পটুয়াখালী, রংপুর, দিনাজপুর ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক; চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এবং বরগুনা সদর, দিনাজপুরের খানসামা, যশোরের মনিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এমইউ/এমএআর/এমএস
Advertisement