বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকারদের বর্জন করে রাজনীতির ভেজাল বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, দেশে জঙ্গি দমন করতে পারলে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে পারব না কেন? তবে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে হবে।
Advertisement
সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ভেজাল ও মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নিরাপদ খাদ্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভেজাল প্রদানকারীদের শাস্তি দিতে আইন আছে। আইন প্রয়োগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ১৯টি টেক্সটাইলের রঙ খাদ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে ক্যান্সার-কিডনি রোগী বাড়ছে। শিশুরা পড়ালেখায় অমনোযোগী হচ্ছে। ভেজালমুক্ত খাবার না খেতে পারলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
Advertisement
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের সিটি এডিটর আবুল খায়ের বিষাক্ত কেমিক্যাল শরীরে প্রবেশ করায় ১০ বছরের অসুস্থতার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, বড় বড় নামিদামি রেস্টুরেন্টের খাদ্যেও ভেজাল দেওয়া হয়। খাদ্যে ভেজালের কারণে কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা রোগব্যাধি ভয়াবহভাবে বাড়ছে। খাদ্যে ভেজাল না থাকলে এ দেশের মানুষের গড় আয়ু ৯০ বছর ছাড়িয়ে যাবে। ভেজাল প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভেজাল ও মাদকবিরোধী আন্দোলনের সভাপতি ও গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, কৃষিবিদ ড. মো. আলী আফজাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইউএ/আরএস/পিআর
Advertisement