আন্তর্জাতিক

মমতার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে তৃণমূলের না

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে আসন খোয়ানোর পর আজ শনিবার বিকেলে দলের বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রস্তাব দিলেও দল তার এমন সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিয়েছে।

Advertisement

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর শনিবার বৈঠক ডাকেন মমতা। শহরের কালীঘাট এলাকায় তার নিজ বাসভবনে দলীয় বৈঠক শেষে মমতা নিজেই সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন।

মমতা বলেছেন, দল চায়নি বলেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হচ্ছে তাকে। তবে তিনি বলেন, ‘একটাই শর্তে আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে রাজি হয়েছি, যদি সবাই একজোট হয়ে কাজ করে।’ দলের মধ্যেই বিশ্বাসঘাতক রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন>> পরাজয়ের শোকে তিন ভাষায় কবিতা লিখেছেন মমতা

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ কেউ বিজেপির কাছ থেকে টাকা চেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন কোনো লাভ হয়নি।

উগ্র হিন্দুত্ববাদ মানেন না জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমাদের সবার মধ্যে সহনশীলতা থাকা উচিত। রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম মিলবে না। হিন্দু, মুসলিম, শিখদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি মানব না। তাতে এক থাকতে হলেও থাকব।’

মোদি ফের রেকর্ড করে ভারতের ক্ষমতায় এসেছেন। জোট নয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তার দল। তৃণমূলের দখলে থাকা পশ্চিমবঙ্গে এবার গেরুয়াঝড় দেখা গেছে। আসন সংখ্যা থেকে শুরু করে ভোট শতাংশ সব জায়গায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে বিজেপি।

অন্যদিকে বাম দলগুলো কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২২টিতে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ১৮টিতে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। কংগ্রেস জিতেছে দুটি আসনে। গত নির্বাচনে মমতার তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন।

Advertisement

বামপন্থীরা লজ্জাজনকভাবে হেরেছে এবার। কোনো আসনেই জিততে পারেনি তারা। অথচ টানা ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা ছিল বামদের হাতে। পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন ছাড়া বাকি সব আসনে বাম প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এসএ/এমকেএইচ