জাতীয়

টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় ছিল না বনানী স্টেশনে

গত বুধবার (২২ মে) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নিরাপদ যাত্রার কথা বিবেচনা করে এ বছর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

একই সঙ্গে কালোবাজারী রোধ ও যাত্রী নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়া সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তিকে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। র্যাবের পক্ষ থেকে বসানো হবে অভিযোগ বক্স। ষ্টেশনে রেলওেয়ের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। সেই সঙ্গে তথ্য কেন্দ্র।

জনদুর্ভোগ কমাতে প্রথমবারের মতো রাজধানীর কমলাপুরসহ পাঁচ স্থান থেকে এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত পাঁচদিন ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। পূর্বঘোষণা মতে আজ (শুক্রবার) বিক্রি করা হয়েছে ২ জুনের টিকিট।

রাজধানীর অন্যান্য বিক্রয় কেন্দ্রে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য বেশ ভিড় হলেও বনানী স্টেশনের চিত্র ছিল ভিন্ন। রেলওয়ে ষ্টাফ আলমগীর হোসেন জানান, জুম্মার আগে কিছুটা ভিড় হলেও বিকেলটা ছিল একেবারে ফাঁকা। বিকেল তিনটা থেকে চারটায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিকিট ক্রেতা দেখা যায়নি। তার মতে, অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধার কারণে এবার ভিড় কম।

Advertisement

আগত যাত্রীদের জন্যে টাঙানো সামিয়ানার নিচে দাঁড়িয়ে কাফরুলের বাসিন্দা আজিজুল জানান, তিনি দুটি টিকিট কিনেছেন রাজশাহীর। কোনো ভিড় না থাকায় তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ২২, ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ মে দেয়া হচ্ছে যথাক্রমে ৩১ মে, ১,২, ৩ ও ৪ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। আর অগ্রিম ফিরতি টিকেটের ক্ষেত্রে ২৯, ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেয়া হবে যথাক্রমে ৭, ৮, ৯, ১০ এবং ১১ জুনের টিকিট। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই টিকিট বিক্রি কার্যক্রম চলবে।

আরএম/এমএমজেড/পিআর

Advertisement