আন্তর্জাতিক

ভোটের লড়াই শেষে মিষ্টির লড়াই

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় গোটা ভারতবাসী। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীই আসুক আর অন্য কেউ আসুক, মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটির ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

ভোটের ফলাফল কী হবে- এমন উত্তেজনার মধ্যেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম মিষ্টির পসরা নিয়ে বসছেন। জয়ী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মিষ্টিমুখ করাতে বুধবার সকাল থেকেই মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত তারা। মিষ্টি বানিয়ে কাচের শো-কেসে থরে থরে সাজিয়ে রাখছে সেগুলো। এছাড়া থাকছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীকসহ নানা ধরনের নকশা করা সন্দেশ, রসগোল্লাও।

পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবীন পাল বলেন, সারা রাজ্যে মিষ্টি তৈরি করতে প্রতিদিন যে পরিমাণ দুধ ও ছানার প্রয়োজন হয়, লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিন তার থেকে ২০ শতাংশ বেশি দুধ ও ছানা মজুত রাখতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন> ম্যাজিক ফিগারও টপকে গেল বিজেপি

Advertisement

নির্বাচনে জয়ী দলের নেতা-কর্মীরা মিষ্টিমুখ করাতে দোকানগুলোতে ভিড় জমাবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বায়না না পেলেও আগের দিন থেকে রসগোল্লা-সন্দেশ তৈরি করে মজুত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।

বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক মিষ্টির দোকানের মালিক পপি মল্লিক বলেন, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ও নরেন্দ্র মোদীর ক্ষীরের মডেল তৈরি করে রাখা আছে। এছাড়া গুড়ের সন্দেশের মাঝখানে লেখা রয়েছে ‘সাফল্যের অভিনন্দন’। যাতে জয়ী যে কোনো দলই অনায়াসে এই সন্দেশ কিনতে পারে।

আরও পড়ুন> কখন জানা যাবে ভারতের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল?

নলিন চন্দ্র দাশ অ্যান্ড সন্সের কর্মচারী তপন কুমার দাশ বলেন, তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম— চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে। তবে ঘাসফুলের প্রতীকের নকশায় সন্দেশ রয়েছে বেশি।

Advertisement

এদিকে দেশটির রাজনৈতিক পালাবদলের সন্ধিক্ষণে মিষ্টিতেও যে তার ছাপ রাখতে হবে, তা মোটেও বিশ্বাস করেন না গিরিশচন্দ্র দে ও নকুড়চন্দ্র নন্দীর বিক্রেতারা। এ দোকানের কর্মকর্তা পার্থ নন্দী বলেন, আমরা কোনো দলীয় প্রতীকের নকশায় সন্দেশ তৈরি করি না। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন অন্য দিনের তুলনায় বেশি রসগোল্লা ও সন্দেশ অবশ্যই রাখা হবে।

আরও পড়ুন> মোদিকে কেন আবার ক্ষমতায় চান না মানুষ?

প্রভুজি হলদিরাম মিষ্টি দোকানের এক কর্মচারী বলেন, বিশেষ ধরনের কোনো মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছে না। সারা শহরে ১০টি শাখার প্রত্যেকটিতে কয়েক হাজার বাড়তি স্টক রাখা হচ্ছে। সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে কেশর লাড্ডুর, তার পরেই কাজু বরফির।

বুথ ফেরত সমীক্ষা যাই বলুক, শহরের দক্ষিণে কাঁচা আমের স্বাদে সবুজ রসগোল্লার চাহিদা বেশি। এমনটি জানিয়েই পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ অরূপকুমার দাস বলেন, দক্ষিণ কলকাতার মিষ্টির দোকানগুলোতে সবুজ রসগোল্লা বেশি থাকবে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এমএসএইচ/আরআইপি