বরগুনার পাথরঘাটায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ করেছে পুলিশ ও বন বিভাগ। এ সময় একটি ট্রলারসহ দুই বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদও জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
Advertisement
শনিবার ভোররাতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বনফুল গুচ্ছগ্রামের একটি খালের ভেতরে থাকা নামবিহীন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বন বিভাগের পদ্মা এলাকার বিট কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে পুলিশের সহযোগিতায় বনফুল গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ। এ সময় গুচ্ছগ্রামের একটি খালের ভেতরে থাকা নামবিহীন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দুটি করে হরিণের চামড়া ও মাথা, ৫ মণ হরিণের মাংস, দুই বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদসহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জব্দ করা মাংসগুলো অন্তত ৮টি হরিণের বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
Advertisement
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, মাংসসহ জব্দ হওয়া ট্রলারটির মালিকের নাম আব্দুর রহমান সিকদার। তার ছেলে আল হানিফ সিকদার পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রহমান সিকদার ও আল হানিফ সিকদার দীর্ঘদিন ধরে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করে আসছেন।
তবে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি। আর ফোন রিসিভ করেননি কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, জব্দ করা মাংস বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএআর/জেআইএম
Advertisement