পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীতে গাছ চাপা পড়ে মো. হাবিব (৩৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে গাছ চাপা পড়ে মো. হাবিব আহত হন। পরে তাকে দ্রুত বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত মো. হাবিব কুয়াকাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খেজুরা গ্রামের বাসিন্দা হারুনের ছেলে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পটুয়াখালীর আট উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা প্রশাসন। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ফণীতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
Advertisement
মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পটুয়াখালীর আট উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন। ৬০১৮ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০৯২টি ঘরবাড়ি ও ১৭৫টি গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। ৩১২৫টি গাছপালা ভেঙে গেছে। ৫০টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে জেলায় বর্তমানে ২০০ টন জিআর চাল ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা মজুত আছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মির্জাগঞ্জে ০.৫০০ কিলোমিটার, দুমকিতে ০.৫০০ কিলোমিটার, গলাচিপায় ৩ কিলোমিটার, রাঙ্গাবালীতে ৩ কিলোমিটার ও কলাপাড়ায় ৩ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোট ১০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শেষে ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সে অনুযায়ী ভাঙা বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর সাগর ও নদীগুলো উত্তাল। সকালে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ। বিভিন্ন ফেরিঘাটে থেমে থেমে চলাচল করছে ফেরি।
মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ
Advertisement