জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ফণী : বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমে গেছে

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যে ধরনের আশঙ্কা করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন নেই। এছাড়া পূর্বাভাস অনুযায়ী যথাযথ প্রস্তুতি ও উপকূলের সকল মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নেয়ায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সহনশীল মাত্রায় নিয়ে আসা গেছে।

Advertisement

শনিবার (৪ মে) সকাল ১০টায় আবহাওয়া অধিদফতরের মিডিয়া সেন্টারে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তথ্য জানাতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাতাস এখন স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। যদি বাতাসের তীব্রতা অধিক হতো তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হতো। তারপরও আবহাওয়া যেহেতু সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যায় না, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে না যায়।

যারা সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থান করছেন তাদেরকে নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে ফণীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকে আসতেছিল, আজ (শনিরার) সকাল ৬টায় যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল। বর্তমানে এটি দেশের মধ্যাঞ্চল চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সকাল ৬টার পর অগ্রসর হওয়ার গতিবেগ বাড়লেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, এটা (ফণী) কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটার ভেতরে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। তবে শক্তি সঞ্চয় সাপেক্ষে আরেকটু বাড়লেও বাড়তে পারে। সারাদেশেই ফণীর প্রভাব পড়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। যেমন- চাঁদপুরে ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টায় বরিশালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার।

এক প্রশ্নের জবাবে শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা এখনো কিছুটা আছে। ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ, অনেক সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এবং জোয়ার-ভাটাতেও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এ অবস্থা কতোক্ষণ চলতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও ৫/৬ ঘণ্টা এ অবস্থা থাকতে পারে। যদিও সকাল ৮টার সংবাদ সম্মেলনেও তিনি একই কথা বলেছিলেন। এছাড়া আগামীকাল রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। জাগো নিউজের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

জেইউ/আরএস/জেআইএম