ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যশোরে শনিবার ভোর থেকেই থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও এখনও কেউ সেখানে আশ্রয় নেননি।
Advertisement
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। জেলায় ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও পরবর্তীতে ত্রাণ সহায়তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে কারো আশ্রয় নেয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
যশোর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ৩ হাজার ১শ মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হবে।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র, শার্শার শিকড়ি দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র, মণিরামপুরের চিৎলা ডুমুরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অভয়নগর উপজেলার কাবিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
Advertisement
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়, সেই লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে যেন রাস্তায় গাছ পড়ে যোগাযোগ বন্ধ না হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যাতে মারাত্মক ক্ষতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম
Advertisement