রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনের আল হেরা জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় আজ (রোববার) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মশক নিবারণ দফতরের একজন কর্মচারী ফগার মেশিনে মশার ওষুধ ছেটাচ্ছিলেন।
Advertisement
পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক নারী তাকে উদ্দেশ করে বলছিলেন, ‘আল্লাহই জানেন, কী যে ওষুধ ছেটাচ্ছেন, মশা তো মরে না। সন্ধ্যার পর ভুলে কোনো দিন দরজা-জানালা খোলা রাখলে মশা কামরিয়ে কাহিল বানায়। রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।’
জবাবে ওই কর্মচারী মুখে বাঁধা রুমাল সরিয়ে বলেন, ‘কী কমু কন, চেষ্টা তো কম করি না, ওষুধে না মরলে আমার কী দোষ।’
পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাসাবাড়িতে প্রবেশ করছে। মশার উপদ্রব থাকায় কয়েল না জ্বালিয়ে বসে থাকা দায় হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মশার কারণে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারছে না। অনেক এলাকায় দিনের বেলায়ও মশার দেখা মিলছে।
Advertisement
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কয়েক দিন যাবত মশার উপদ্রবটা বেড়েছে। বিশেষ করে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা বা বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রবটা যেন বেশিই মনে হয়। তারা জানায়, সিটি কর্পোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও তা মশক নিধনে কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মশক নিধন কার্যক্রমের সাথে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, গত মাসে মশার ওষুধের কিছুটা ক্রাইসিস থাকলেও এখন মশার ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
লালবাগের একজন মশক সুপারভাইজার বলেন, দু’দিন ধরে রুটিন করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশার উপদ্রব দ্রুতই কমে যাবে।
রাজধানীর জিগাতলায় খায়রুননেসা রোডের বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান, এ মহল্লার বাসাবাড়িতে দিনের বেলায়ও বড় বড় মশা দেখা যায়। ছেলে-মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় কি না তা নিয়ে চিন্তিত। প্রতিকার হিসেবে দিনের বেলায়ও ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন বলে তিনি জানান।
Advertisement
মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, এ সময় ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রকোপ থাকে না। সাধারণত এ সময় কিউলেক্স মশাই দেখা যায়। তিনি বলেন, গরম বাড়লে কিউলেক্স মশার উপদ্রব এমনিতেই কমে যাবে।
এমইউ/এনএফ/পিআর