জাতীয়

১০০ দিনের ধান চাষে মুনাফা ১০০ কোটি টাকা!

মাত্র ১০০ দিনের ধান চাষে কৃষকের নিট মুনাফা হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এ তথ্য শুনে পাঠক হয়তো বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে প্রশ্ন ছুঁড়বেন, এ আবার কোন ধান যে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল বিক্রিতে শত কোটি টাকা মুনাফা হবে?

Advertisement

বাস্তবে এমনটা সম্ভব। উন্নত ফলনশীল (উফসি) আউশ ধান উৎপাদনের মাধ্যমে এ মুনাফা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

আরও পড়ুন >> পরিবেশ ও পানি দূষণে দায়ী কৃষিখাত!

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উফসি ধান চাষে এক কৃষককে বিঘাপ্রতি বীজ ও রাসায়নিক সার খরচ বাবদ ৮৭৫ টাকা প্রণোদনা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শত কোটি টাকা মুনাফা সম্ভব বলে জানান।

Advertisement

তিনি বলেন, আউশ ধানের জীবনকাল আমন ও বোরো ধানের চেয়ে কম অর্থাৎ ১০০ দিন হওয়ায় মৌসুমি বৃষ্টির পানি ও সামান্য দু-তিনটি পরিপূরক সেচের মাধ্যমে এ ধান উৎপাদন সম্ভব। দেশের বিভিন্ন জেলায় পতিত ও সাময়িক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমানে আউশ মৌসুমে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ হেক্টর জমিতে উফসি ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৮১ হেক্টর (চার লাখ ৫৯ হাজাার ২২৬ বিঘা) জমিতে প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হবে।

প্রণোদনার আওতাধীন জমিতে চাল উৎপাদন হবে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন যার মূল্যে ৫৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০ টাকা। খড় হবে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন। যার মূল্যে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৬ টাকা। চাল ও খড় বাবদ মোট আয় ৬০৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪৫ টাকা।

আরও পড়ুন >> আসছে আয়রন-জিংকসমৃদ্ধ নতুন ধান

Advertisement

প্রতি বিঘা জমিতে উফসি আউশ চাষ বাবদ কৃষকের মোট খরচ হবে ১১ হাজার টাকা (ইউরিয়া, জমি তৈরি, রোপন, পরিচর্যা, কর্তন ও মাড়াইবাবদ ১০ হাজার ১২৫ টাকা)। এর মধ্যে কৃষককে ৮৭৫ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রণোদনার আওতাধীন জমিতে মোট উৎপাদন খরচ হবে ৫০৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আয় থেকে খরচ বাদ দিলে নিট লাভ ৯৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৫ টাকা।

এমইউ/এমএআর/এমকেএইচ