নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় মোট ৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে দু'জনের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা হলেন স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ এবং গৃহিণী হোসনে আরা ফরিদ।
Advertisement
অপর দু'জন নিহতের তথ্য স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে জেনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ উমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিউজিল্যান্ডে নেয়ার ব্যবস্থা করবে দেশটির সরকার। তারা চাইলে লাশ দেশে নিয়ে আসতে পারবেন।
তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা ছয় জনও হতে পারে। স্থানীরা ধারণা করছেন নিখোঁজরাও নিহত।
Advertisement
এ হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন নরসিংদীর পলাশ এলাকার জাকারিয়া ভুইয়া ও শাওন। এদের মধ্যে শাওনের ঠিকানা জানা যায়নি।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দু'জন। তারা হলেন- লিপি ও মুমতাসিন।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহত বাংলাদেশি নাগরিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবদুস সামাদকে নিউজিল্যান্ডেই সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু'টি মসজিদে শুক্রবার গুলি চালান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক অস্ট্রেলীয়। এতে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হামালায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
Advertisement
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেনটন। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদেও দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
শান্তির দেশে এমন জঘন্য হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত।
জেপি/এসএইচএস/এমএস