নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু'টি মসজিদে হামলার ঘটনায় চারজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী এবং তিনজন পুরুষ। স্থানীয় পুলিশ কমিশনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
ডিনস এভে অবস্থিত মসজিদ আল নুর এবং লিনউড এভের লিনউড মসজিদে গোলাগুলির ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্র।
কমপক্ষে দু'জন বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। যখন তিনি মসজিদে হামলা চালাচ্ছিলেন তখন নিজেই তা লাইভ করেছেন। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে যে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের বাইরেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
হামলা চালানোর সমং সামাজিক মাধ্যমে লাইভে ছিলেন ওই হামলাকারী। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার লাইভ ভিডিও প্রচারিত হয়। হামলাকারী নিজেকে ব্রেনটন ট্যারেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান-বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ তিনি।
Advertisement
নিউ প্লাইমাউথে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জেসিনডা আর্ডার্ন ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের জন্য একটি অন্ধকার দিন উল্লেখ করে এই হামলাকে চরম এবং নজিরবিহীন সহিংসতা বলেছেন।
আর্ডার্ন আরও বলেন, এই মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই আমি। এটাই হয়তো নিউজিল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে খারাপ একটি দিন।
হামলার পর পরই সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। হামলায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল বলেন, লোকজনের জন্য তার বার্তা হলো শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, যদি আপনারা এখানে থাকেন তবে যে যে ভবনে আছেন তার ভেতরেই অবস্থান করুন।
Advertisement
টিটিএন/এমএস