পুরান ঢাকার চকবাজারে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ সরাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযানিক দল। পরে অভিযান ওই সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়।
Advertisement
রোববার (৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে শুরু হওয়া অভিযান চুড়িহাট্টা থেকে আজগর লেন উর্দু রোড পর্যন্ত পৌঁছালে প্রায় শতাধিক কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের দানা ব্যবসায়ীরা পেছনে হাঁটতে শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে স্লোগান দিয়ে অভিযানের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খানকে উদ্দেশ্য করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আপনারা আসছেন ধান্দাবাজি করতে। আমার পরিবারের লোকজন জীবন দিয়েছে। আমি জানি কিসে আগুন লেগেছে। আপনারা অনভিজ্ঞ লোকজন দিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন। না বুঝেই ভবনের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন।’
একাধিকবার তাকে থামতে বললেও তিনি কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে চকবাজার থানায় নিয়ে যেতে চান। এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানালে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাকে বুঝিয়ে বলেন এবং পুলিশকে ছেড়ে দিতে বলেন। ওই ঘটনার পর আর কোনো ভবনে অভিযান চালানো হয়নি।
Advertisement
পরে টাস্কফোর্স দলটি বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের বিপরীত সড়কে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে শরীফ আহমেদ খান বলেন, চকবাজারের ৬টি হোল্ডিংয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৬টির মধ্যে ২টি হোল্ডিংয়ের গোডাউনে কাঁচের চুড়ি এবং বাঁচ্চাদের খেলনা ছিল, যা আমাদের অভিযানের মধ্যে পড়ে না। আরেকটি হোল্ডিংয়ের গোডাউনে থেকে মালিক মালামাল সরিয়ে ফেলায় আমরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, তিনটি হোল্ডিংয়ে আমরা প্লাস্টিক গোডাউনের সন্ধান পেয়েছি। ওই তিনটি গোডাউনের ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র গোডাউনগুলোর ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, বাসাবাড়ির নয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর ব্যবসায়ী আফসার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় দেয়া উচিৎ। আমাদের ব্যাংক লোন রয়েছে। শত শত শ্রমিক রয়েছে, তারা না খেয়ে মরবে।
রোববার অভিযান চলাকালে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাসহ বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা ও ডিপিডিসি, চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এআর/আরএস/পিআর