সংখ্যা তত্ত্বের দিক থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সম্প্রসারণ ঘটেছে। এটি আজ গ্লোবাল কনসার্ন। তাই জাতিসংঘের এসডিজি-২০৩০ লক্ষ্য মাত্রার ৪ নম্বর দফায় ‘মানসম্পন্ন শিক্ষার’ বিষয়টি স্থান পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।
Advertisement
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সিনেটের বার্ষিক বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশব্যাপী ২ সহস্রাধিক কলেজের শিক্ষার মান রাতারাতি বৃদ্ধি সম্ভব নয়, তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকারও সুযোগ নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই গত এক বছরে দেশে ও দেশের বাইরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেন এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি পুরাতন ঢাকার চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে যেসব লোক নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন এবং অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
Advertisement
পরে ভিসি তার ভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দান, কতগুলো বেসরকারি কলেজকে অবকাঠামোগত সহায়তাদান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মডেল কলেজে উন্নীতকরণ, শতবর্ষী কলেজসমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেনের উপস্থাপনায় সিনেট অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান, অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান মিয়া, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজ মু. হাসান বাবু, অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, বিভাগীয় কমিশনার, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনসহ সিনেট সদস্যরা ওই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/আরআইপি
Advertisement