জাতীয়

নতুন বইয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

সারাদেশে পালিত হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। আকাশে বাতাসে উড়ছে রাঙা বইয়ের মৌ মৌ গন্ধ। আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরের ২৬টি বিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থী আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জড়ো হয়েছে। তারা স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মাথায় নানা রঙয়ের ক্যাপ পরে হাতে জরির ফিতা নিয়ে আকাশে উড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা তারা। স্ব-স্ব স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের এ আনন্দে শামিল হয়েছেন।

Advertisement

উৎসব উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনুকরণীয়। বিশ্বের কাছে আমরা এখন রোল মডেল। কেউ আমাদের এ অগ্রগতি থামাতে পারবে না। আমরা একসময় বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হব।

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন, একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী দিন। বিনামূল্যে এত সংখ্যক বই বিতরণের এমন উদাহরণ জগতে আর নেই। আমরাই এতে সফল হয়েছি। প্রতিবছর জানুয়ারির ১ তারিখে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেই। ২০১০ সালের পর একবারও এর ব্যত্যয় হয়নি। স্বাধীন দেশ বলে এটা সম্ভব হয়েছে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরব স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। আর নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

Advertisement

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম। এর জন্য আমাদের শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে হবে। আজকের এ তরুণ প্রজন্মই এ দেশকে বিশ্ব দরবারে উঁচু করে তুলে ধরবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মের জন্য সবকিছু উজাড় করে দেব। আমাদের এ প্রজন্ম কোনো অংশেই বিশ্বের কোনো অংশ থেকে পিছিয়ে নেই। আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর একটা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পেরেছি। আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যাব না, সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। সব ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আজকে ছেলে-মেয়ে সমতা আনতে পেরেছি। মাধ্যমিকে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে গেছে।

আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে চাই। একই সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন খাঁটি মানুষ তৈরি করতে চাই। আমররা সমস্ত শ্রম মেধা দিয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলব।

শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে উৎসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধবতন কর্মকর্তা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এমএইচএম/এমএমজেড/এমকেএইচ