জাতীয়

‘মন্ত্রীবর্গের কারো সাহস নেই সরাসরি কারো কাছে টাকা চাওয়ার’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা দুদককে মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু দুর্নীতির একটা জিরো টলারেন্স পলিসি অলরেডি আছে। আমাদের মন্ত্রীবর্গের কারো সাহস নেই সরাসরিভাবে কারো কাছে টাকা চাওয়ার। এই সাহস আওয়ামী লীগ সরকারের কারো নেই। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপকের করা এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জয় বলেন, ‘ওখানে আমাদের যখন যা ট্যাক্স দিতে হয় আমরা দিয়ে দেই। কষ্ট লাগে, কষ্ট করে আয় করেছি তার ৩০/৪০ ভাগ চলে যায়। আমরা কিন্তু ওটা নিয়ে কোনো অভিযোগ করি না। বাস্তব কথা কী? আমাদের বাংলাদেশে স্পেশালি যাদের আয় হয়েছে, বড় লোকরা, তারা কিন্তু সব থেকে বেশি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার তাদের গ্রেফতার করি, তাদের বিচার করি। এমন তো কেউ নাই যে যাদের বিচার হয় নাই বা হচ্ছে।’

দুর্নীতি সম্পর্কিত আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খুবই ভালো একটা প্রশ্ন করেছেন, কারণ এটাই হচ্ছে... এখন আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ বাকি। দুর্নীতি যে আছে সেটা আমি অস্বীকার করতে পারি না। তবে এখন থেকে যদি... বিএনপির আমল বা ১০ বছর আগে আকাশ-পাতাল তফাৎ। এটার স্পষ্ট একটা উদাহরণ হচ্ছে, যদি সে রকম দুর্নীতি আজকে বাংলাদেশে থাকতো, তাহলে এত কাজ কী সম্ভব হতো? সামাজিক কাজে দুর্নীতি থাকলে সাফল্য পাওয়া যায় না। শিক্ষাক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে আপনি এত মানুষকে সেবা দিতে পারবেন কীভাবে? এটা তো সম্ভব না। বাস্তব কথা হচ্ছে যে, ১০ বছর আগে বাংলাদেশে যে দুর্নীতি ছিল তার ধারে-কাছেও আজকে নাই।’

আগের আর ২০০৮ সালের পর পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে জয় বলেন, ‘২০০৮ সালের পর আমার তো মনে হলো বাংলাদেশ বিরাট একটা শ্বাস নিতে পারলো। সামরিক আইন, তারপর আসল সেই বিএনপি সরকারের ভয়ঙ্কর সময়, হত্যাকাণ্ড, বোমা হামলা, দুর্নীতি। তারপর হলো ওয়ান ইলেভেনের আবার সেই সামরিক আইন। যখন ২০০৮ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসল, আওয়ামী লীগ সরকারে আসল, মনে হলো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ একটা বিরাট শ্বাস নিতে পারল। আবার আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হলাম প্রায়। আমাদের স্বপ্ন ছিল, এখন দেশের জন্য কাজ করার সুযোগটা পেলাম।’

Advertisement

ইশতেহারে তরুণদের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি তরুণরাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তরুণরা এখন কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তিত। তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমাদের প্রথম পরিকল্পনা।’

এইউএ/এসআর