পাকিস্তানের জরুরি সার্ভিস বিভাগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সন্দেহভাজন ওই দুই কর্মীকে ইতোমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে বলছে, পাকিস্তানের নানকানা সাহিব এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী শিখ সম্প্রদায়ের।
Advertisement
জেলা জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা আকরাম পানওয়ার বলেছেন, পাকিস্তানের জরুরি সেবা বিভাগের জরুরি নাম্বার ১১২২ এর উদ্ধার মামলার এ ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দোষী প্রমাণিত হলে সন্দেহভাজন ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোরীর শরীর ও গোপনাঙ্গে কোনো ধরনের ক্ষত কিংবা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়াল আমিরাত
Advertisement
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাশারত আলী বলেন, সোমবার ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে আবারও পরীক্ষার জন্য লাহোরে নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রত্যাশিত ফল পেতে কমপক্ষে দুই মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে জরুরি সার্ভিসের বরখাস্তকৃত ওই দুই কর্মীকে পুলিশি জিম্মায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
সিটি নানকানা সিহাব পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী। রোববার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
আরও পড়ুন : হার না মানা রেহানা ফাতেমার গল্প
পরে পরিবারের সদস্যরা জরুরি সার্ভিস বিভাগের একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে কিশোরীকে যৌন হয়রানি করতে দেখেন। অল্প সময়ের জন্য ওই অ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল ধর্ষকরা। তবে পরিবারের সদস্যরা যখন চিৎকার করেন, তখন ওই দুই সন্দেহভাজন ধর্ষক অ্যাম্বুলেন্সের গতি বাড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি আখ কারখানার কাছে কিশোরীকে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা।
Advertisement
নানকানা সাহিব জেলার পুলিশের মুখপাত্র বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
সূত্র : ডন।
এসআইএস/এমএস