অর্থনীতি

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল

শরীয়তপুরের নড়িয়াসহ কয়েকটি উপজেলা সম্প্রতি পদ্মা নদীর ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

Advertisement

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে বাজার, ঘর বাড়ি, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্রিজ-কালভার্ট ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার ঋণগ্রহীতা কৃষি এবং এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে সমস্যা হবে।

তাই নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরিয়ে আনতে তাদের পুনর্বাসনে আর্থিক নীতি সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর মধ্যে রয়েছে : নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ খেলাপিতে পরিণত না হন সে লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে, ক্ষেত্র বিশেষে ডাউন পেমেন্ট এর শর্ত শিথিল করা। সর্বোচ্চ ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডে কৃষি এবং এসএমই খাতের ঋণ পুনঃতফসিল করা। এছাড়া চাহিদার ভিত্তিতে নতুন ঋণ সুবিধা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে কোন অর্থ জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা।

Advertisement

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার নিমিত্তে এবং আবাদযোগ্য (যদি থাকে) স্থানসমূহে কৃষি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বিশেষ কৃষি ঋণ হিসেবে ৪% রেয়াতি হার সুদে আমদানি বিকল্প ফসলসমূহে (ডাল, তৈলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) কৃষি ও পল্লী ঋণ ঋণ প্রদান করা।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নদী ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়া নিঃস্ব কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা দায়ের না করা। একই সঙ্গে দায়েরকৃত সার্টিফিকেট ছয় মাস বন্ধ রেখে প্রয়োজনে সোলেনামার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করার পরামর্শ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন ঋণ পেতে কোনোরূপ হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ প্রদান সুবিধা আগামী ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Advertisement

এসআই/এসএইচএস/জেআইএম