দেশজুড়ে

বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে পাহাড়ি গরু, দাম বেশি

দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গরুগুলো কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি সদরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই গরুগুলো পাহাড়ি ক্রেতাদের কাছ থেকে কেনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে জেলার বাইরে। এতে স্থানীয়দের বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে।

Advertisement

কোরবানি ঈদের বাকি আর তিনদিন। পশু কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা বাজারে ঘুরছেন। কেউ কিনছেন আবার কেউ দেখছেন। শেষ মুহূর্তের বাজারের পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা অনেকের।

রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে পাহাড়ি গরু আনা হচ্ছে। সেগুলো আবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় বাজারগুলোতে যে গরু রাখা হয়েছে সেগুলোর দাম গতবারের থেকে একটু বেশি।

রাঙ্গামাটি গরু-ছাগলের হাটে কোরবানি পশু কিনতে আসা তাজুল ইসলাম বলেন, আমি গত দুইদিন ধরে বাজারে আসছি এবং গরু দেখছি। তবে এখন পর্যন্ত গরু কেনা হয়নি। পাহাড়ে যেসব গরু প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে সেসব গরু আসছে। কিন্তু তা রাঙ্গামাটির বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার একটু বেশি। তবে শেষ বাজারে বুঝা যাবে কেমন হয়।

Advertisement

স্থানীয় ক্রেতা সিদ্দিক আহমেদ বলেন, আমি সকাল থেকে বাজারে ঘুরছি। এখন পর্যন্ত কোনো গরু কিনতে পারিনি। পাহাড়ি গরু বাজারে আছে বেশ কয়েকটি। তবে জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাজারে যে গরুগুলো আছে তাও মোটামুটি ভালো। কিন্তু গতবারের তুলনায় দাম বেশি।

রাঙ্গামাটির স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, আমি লংগদু, বরকল থেকে ৬০টি গরু এনেছি। এ পর্যন্ত ২৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। গত বারের তুলনায় দাম এবার একটু বেশি। কারণ দেশি গরু এখন পর্যন্ত যা আছে তা অল্প।

চট্টগ্রামের গরু ব্যবসায়ী হানিফ সরকার বলেন, রাঙ্গামাটির পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়ে ওঠা গরুগুলোর চাহিদা চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় একটু বেশি। তাই আমরা এখান থেকে পাহাড়িদের কাছ থেকে গরু কেনে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি।

রাঙ্গামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনাল গরু-ছাগল হাটের ইজারাদার সাওয়াল উদ্দিন বলেন, পাহাড় থেকে গরু আসছে। তবে ব্যবসায়ীরা বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে বাজারে পর্যাপ্ত গরু আছে। আশা করি আরও গরু আসবে।

Advertisement

রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর বলেন, রাঙ্গামাটির পশুর হাটে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ, সাদা পোশাকে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মাঠে রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।

এএম/এমএস