পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। বুধবার দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলো ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছে।
Advertisement
ইসলামাবাদে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের এক নেতা বলেন, তারা নতুন করে নির্বাচনের জন্য বিক্ষোভ করবেন।
বিরোধী দলগুলোর ওই বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন-এর নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।এর আগে তারা বলেছিল যে, নির্বাচনে জয়ী না হলে তারা পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে যেতেও প্রস্তুত রয়েছে। তবে নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, তারা পার্লামেন্ট বর্জন করবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে শেহবাজের সঙ্গেই ছিলেন এমএমএ পার্টির নেতা মাওলানা ফাজালুর রেহমান। এক বিবৃতিতে ফাজালুর রেহমান বলেন, নতুন করে নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলনে যাব। এ নিয়ে বিক্ষোভ হবে।
Advertisement
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিরোধী ১০থেকে ১২টি দলের নেতাকর্মীরা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। নির্বাচনে মূলত ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা দেখা গেছে।
নির্বাচনের সর্বশেষ ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইমরানের দল। জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসনে তারা ১১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। অপরদিকে, নওয়াজের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৪টি আসন। নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তারা পেয়েছে ৪৩টি আসন। তবে শুক্রবার পিপিপি দলের কেউ বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে অংশ নেয়নি।
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১৩৭টি আসনে জয়ী হওয়া প্রয়োজন ছিল ইমরানের দলের। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ায় তার দলকে জোট সরকার গঠন করতে হবে।
টিটিএন/এমএস
Advertisement