জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৯ জুলাই করা হয়েছে। এর আগে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জামিন দিয়েছিল, যা আজ (১২ জুলাই) শেষ হয়েছে।
Advertisement
খালেদার পক্ষে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই (রোববার) পর্যন্ত আপিল শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মুহাম্মদ আলী ও আব্দুর রেজাক খান এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৯ জুলাই (সোমবার) আদালত বলেছিলেন, কোনো পক্ষ থাকুক আর নাই থাকুক শুনানি শুরু করা হবে। এছাড়া জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে হাইকোর্টে ১২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) আদেশ দেয়া হবে।
Advertisement
গত ১৬ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রাখেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। এ মামলায় জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে একাধিক মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। বর্তমানে সেখানেই বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি
Advertisement