জাতীয়

উপজেলায় চিকিৎসক নেই, মেডিকেলে সংযুক্তিতে ছড়াছড়ি

চিকিৎসক সঙ্কটে ভুগছে দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার উপজেলা হাসপাতালে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও অধিকাংশ উপজেলা হাসপাতালে অর্ধেক সংখ্যক চিকিৎসকও নেই। চিকিৎসকের অভাবে উপজেলার লাখো মানুষের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বিষয়ক এক সভায় নীতিনির্ধারকরা তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসকের নিদারুণ সঙ্কটের তথ্য তুলে ধরে বিষয়টির দ্রুত সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার ওপর গুরত্বারোপ করেন।

ওই সভায় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, কোথাও কোথাও ৫০ শয্যার উপজলা হাসপাতালে পদ থাকলেও হাতে গোনা মাত্র ২/১ জন চিকিৎসক থাকেন। আবার কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে পদ না থাকলেও ২০০ থেকে ৩০০ জন চিকিৎসক সংযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন। শুধু উপজেলাতেই নয়, কোনো জেলাতেও চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি, আবার কোথাও কম। ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসক ও সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে।

বর্তমানে সারাদেশে স্বাস্থ্যবিভাগের অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার সরকারি চিকিৎসক কাজ করছেন। এ চিকিৎসকদের একটা অংশের পোস্টিং উপজেলাতে হলেও তারা কিছুদিন চাকরির পর মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষার দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন (এমডি এমসি, এফসিপিএস, এমপিএইচ ও এমফিল) ইত্যাদি কোর্সে পড়াশোনা করতে চলে যান। এ ছাড়া মৌলিক চিকিৎসা শিক্ষা কোর্সে অংশগ্রহণ করতেও ২/৩ মাসের জন্য চিকিৎসক চলে যান। ফলে চিকিৎসক সঙ্কট দেখা দেয়।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখা সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ২৮৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এসব কোর্সের ১ম পর্বেও মেয়াদ বিষয়ভেদে এক থেকে তিন বছর। ২য় ও ৩য় পর্বেও মেয়াদও একইরকম। ২০১৭ সালে উচ্চ শিক্ষার প্রথম পর্বে ৪৬৮ জন ও ২০১৮ সালে ৭৩২ জনসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে অনুমতি দেয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্বে ১৩৮৪ জনকে অনুমতি দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদেও শেষ সময়ে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক সঙ্কট দূর করতে ক্লিনিক্যাল বিষয়ে প্রথম পর্বে প্রেষণ মঞ্জুর স্থগিতসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।

এমইউ/এনএফ/পিআর

Advertisement