বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায়, চতুর্থ জামাত ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লী অংশ নেন।
Advertisement
জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতের সময় বিপুল সংখ্যক মুসল্লীকে মসজিদের বাইরে নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের সিড়িও ছিল মুসল্লীপূর্ণ। অনেকে দ্বিতীয় জামাতে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে এলেও জায়গা না পেয়ে তৃতীয় জামাতে শামিল হন।
যাত্রাবাড়ী থেকে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছিলেন ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে পারাটা সৌভাগ্য বলে মনে করি। আমার স্থায়ী ঠিকানা ঢাকাতেই। ঈদের নামাজগুলো আমি বায়তুল মোকাররমেই পড়ার চেষ্টা করি।’
শুধু সিয়াম নয়, ছোট-বড় হাজারও মুসল্লীরা বায়তুল মোকাররমে এসেছেন ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়তে। প্রথম জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী আমামতি করেন।
Advertisement
এছাড়া দ্বিতীয় জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম ও তৃতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান, চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মাওলানা জুবাইর আহাম্মদ আল আযহারী এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমাদ ইমামতি করেন।
ইমামরা মোনাজাতে গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাফ চান। এছাড়া দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। মোনাজাতের সময় আবেগে আপ্লুত অনেক মুসল্লীর চোখে অশ্রু ঝরে।
তৃতীয় জামাতের আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম আবদুর রহিম বলেন, ‘প্রথম জামাতে প্রচুর মানুষ হয়েছে। এর পরের জামাতগুলোতেও মসজিদ ভরে যাচ্ছে।’
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে সকালে ৮টা থেকে বিভিন্ন সময়ে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মসজিদ ভরে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন শত শত মুসল্লীরা।
Advertisement
আরএমএম/আরএস/এমএস