জাতীয়

আরও ১০ রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা বিমানের

* ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ছয় রুটে* ২০২০-২১ অর্থবছরে চার রুটে* বিমানবহরে যুক্ত হচ্ছে চারটি ড্রিমলাইনার* মালালাল ছাড়ের সময়সীমা ২১ দিন থেকে কমানোর তাগিদ

Advertisement

আরও ১০ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ছয়টি রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ছয়রুট হলো চিনের গুয়াংজু, সৌদি আরবের মদিনা, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালদ্বীপের মালে, হংকং ও ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ইতালির রোমে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং কানাডার টরোন্টে এই চার রুটে ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের এ রুট খোলার পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।

Advertisement

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান জাগো নিউজকে বলেন, বিমানবহরে যুক্ত হচ্ছে চারটি ড্রিমলাইনার। ৪৩ হাজার ফুট উঁচুতে নিরবচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সুবিধা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কথা বলা, নয়টি টেলিভিশন চ্যানেল দেখার এবং থ্রিডি অ্যাকটিভেটেড ম্যাপ সুবিধা নিয়ে আসবে এসব উড়োজাহাজ। পাশাপাশি বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। সংসদীয় কমিটি এসব উদ্যোগ স্বচ্ছতার সঙ্গে করার সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে জানানো হয়, নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমানকে আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) কর শোধ করে বিমানের নিট মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৩৫ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ৩২৪ কোটি টাকা। বিমানবহরে ড্রিম লাইনার যুক্ত হলে এ মুনাফা আরও বাড়বে।

বিমানবন্দরে মালামালের জট

বৈঠকে জানানো হয়, কার্গো বিমানের আনা মালামাল বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খালাস না করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের ২২ দিনে ৫১ হাজার টন জিনিসপত্র আমদানি করা হলেও ছাড় করানো হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টন। মালালাল ছাড়করণের সময়সীমা ২১ দিন থেকে কমানোর তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি ।

Advertisement

কমিটি বলেছে, নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মালামাল নিলাম প্রক্রিয়ার নির্ধারিত সময়ে কমিয়ে আনতে হবে।

বৈঠকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের রানওয়ের লিজকৃত জমি উদ্ধার এবং রানওয়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার মান বৃদ্ধির তাগিদ দেয় সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, তানভীর ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আফতাব উদ্দীন সরকার, রওশন আরা মান্নান এবং সাবিহা নাহার বেগম অংশ নেন। বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/জেডএ/পিআর