ছয় বছর ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় ‘সিলেট হাউসে’ রাতে পুলিশ গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
Advertisement
রিজভী বলেন, গতরাতে (সোমবার দিনগত রাত) সাহরির কিছুক্ষণ আগে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর রাজধানীর বনানীর সিলেট হাউসের বাসায় ডিবি পরিচয়ে পুলিশের তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালায়। জোরে জোরে ধাক্কা দিয়ে ইলিয়াস আলীর অসুস্থ স্ত্রীকে দরজা খুলতে বলেন।
তিনি বলেন, আতঙ্কিত হয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা আমাকেসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ফোনে আকুতি জানাতে থাকেন। পরে ইলিয়াস আলীর বাসার সামনে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিতি হলে ডিবি পুলিশ পরিচয় ব্যক্তিরা চলে যায়। বিরোধী দলের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি সরকারি সাদা পোশাকধারী বাহিনীর কাপুরুষচিত সন্ত্রাসী ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিজভী আহমেদ বলেন, পবিত্র মাহে রমজানেও পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশের তল্লাশির নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি চলছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি, গ্রেফতার কিংবা জেল গেটে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
Advertisement
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাও ডিভি পুলিশ যাওয়া বিষয়ে অভিযোগ করেন। জানান, গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে গভীর রাতে বনানীর বাসায় ঢোকার চেষ্টা করা হয়। রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের বাসা ‘সিলেট হাউজে’র নিচে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে ফটক খুলতে বলেন। তবে ফটক না খোলায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তারা চলে যান।
এদিকে বনানী থানায় যোগাযোগ করা হলে ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) মো. সায়হাম ওয়ালিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বনানী থানা থেকে তার (ইলিয়াস আলী) বাসায় কোনো পুলিশ অভিযান চালাতে যায়নি।’
কেএইচ/এআর/আরএস/পিআর
Advertisement