জম্মু সীমান্তে পাকবাহিনীর (পাকিস্তান রেঞ্জারস) গুলিতে এক বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জম্মু আরএস পুরায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত-আইবিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
Advertisement
নিহত কন্সটেবলের নাম সীতারাম উপাধ্যায় (২৭) বলে জানা গেছে। তিনি ১৯২ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে জাবাওলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাক সীমান্তবাহিনী গুলি ছুড়লে উপাধ্যায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জম্মু চিকিৎসা কেন্দ্রে আনা হলে রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঝাড়খন্ডের গিরিদ জেলা থেকে আসা উপাধ্যায় তিন বছর বয়সী এক ছেলে ও এক বছর বয়সী এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় মর্টার ও গুলির আঘাতে সীমান্তবর্তী গ্রামের অন্তত চারজন বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুপ্ত নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
Advertisement
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এর আগে হেরানগরে বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতের প্রথমভাগে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে বিএসএফের এক অশ্বারোহী সৈনিক আহত হন। গতকাল সকালে বিএসএফ গোলাগুলি বন্ধ করলেও পাকিস্তান বৃহস্পতিবার শেষ রাত পর্যন্ত গোলাগুলি চালায়।
আরএস পুরা সেক্টরে গোলাগুলি থেমে থেমে চলে বলে তিনি ওই কর্মকর্তা জানান।
খবরে বলা হয়, সীমান্তে মর্টারের শব্দ সারারাত ধরে শোনা যায়।
গত কয়েকদিন ধরে জম্মু সীমান্তে উভয়পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আরএস পুরায় একটি খামার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকে সামনে রেখে এ উত্তেজনা বেড়েছে।
Advertisement
সপ্তাহ খানেক আগে, উভয়পক্ষের অনুপ্রবেশের চেষ্টার জের ধরে সংঘটিত উত্তেজনায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হন। এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে আইবি সীমান্তের আরনিয়াতে বসবাসকারীদের (সংখ্যায় ২০ হাজার) গৃহের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি স্কুলও বন্ধ রয়েছে।
এসআর/এমএস