ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার মাঝামাঝি উপজেলাটির নাম হরিণাকুন্ড। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রত্যন্ত উপজেলা হিসেবেই চিহ্নিত এ উপজেলাটি। কিন্ত এখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসা সেবার জন্য আছে একমাত্র হরিণাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। সেখানে ৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ছয় জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। ফলে প্রতি নিয়তই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
Advertisement
হরিণাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৩০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ছয়জন চিকিৎসক। ১০ জন কনসালটেন্ট চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত মাত্র একজন। পাঁচজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে কর্মরত আছে মাত্র দুইজন। স্বাস্থ্য সহকারীর ২৯টি পদের বিপরীতে ২১ জন কর্মরত থাকলেও এর মধ্যে ছয়জন এসআইটি কোর্সে ঝিনাইদহে অধ্যয়নরত।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে ২০০৫ সালের ১৭ মে স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছিল।
হরিণাকুন্ড উপজেলার ভালকি বাজারের এম রবিউল ইসলাম রবি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়তই উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক যুগ আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আজও পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই। এটির সীমানা প্রাচীর ভাঙাচুরা । ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে এখানে সৃস্টি হয় জলাবদ্ধতা।
Advertisement
এ সব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ জানান, চিকিৎসক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো ফল হয়নি। মাঝে মাঝে কিছু চিকিৎসক দেয়া হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই মফস্বল এলাকা হওয়ার কারণে তারাও তদবির করে বদলি হয়ে চলে যান।
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/জেআইএম