মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সংঘর্ষে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া কাচিন জনগোষ্ঠীকে উদ্ধারের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার কাচিনের মিতকিনা এলাকায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ ওই বিক্ষোভ করেন।
Advertisement
কাচিনের মিতকিনা এলাকার মানাওয়েতে জমায়েত হয়ে শহরের বিভিন্ন অংশে প্রদক্ষিণ করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় সেনাবাহিনী-কেআইএ’র তীব্র সংঘর্ষে জঙ্গলে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানান তারা।
কাচিনে সেনাবাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে অবহেলা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিক্ষোভ থেকে। সরকারের স্লোগান ‘জনগণের সঙ্গে আমরা’ নীতি মানতে ও উদ্বাস্তু কাচিনদের দুর্দশা বুঝতে বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন : পশুর মতো হামলে পড়লো ওরা! (ভিডিও)
Advertisement
নান পু নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, জঙ্গলে আটকে পড়া বিশেষ করে নারী, গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি বেড়েছে। এমন অবস্থায় আমরা সরকার ও সেনাবাহিনীকে দয়া দেখাতে ও যত শিগগিরই সম্ভব তাদের নিজ ভূমিতে ফেরানোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জঙ্গলে আটকে পড়া ছাড়াও অনেকে গীর্জায় আশ্রয় নিয়েছেন। জনাকীর্ণ গীর্জায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
নান পু বলেন, গীর্জা এবং খ্রিস্টানদের বিভিন্ন সংগঠন তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে। তাদের কাছে যা ছিল, তাই দিয়েছে। গতকাল তারা সামান্য সেমাই ও মটরশুটির স্যুপ বিতরণ করেছে। তাদের জন্য আমাদের দুঃখ হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাস চালকের ছেলে সাজিদ ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Advertisement
মিয়ানমারের উত্তরের এই প্রদেশে ২০১১ সাল থেকে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সশস্ত্র লড়াই চলছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি কাচিন জনগোষ্ঠী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্ত্যুচুত হয়ে আশ্রয় শিবিরে রয়েছে।
এপ্রিলের শুরু থেকেই কাচিনে আবারো সেনাবাহিনী হামলা শুরু করেছে। এতে কাচিনের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৬ হাজার মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
এসআইএস/আরআইপি