তৃতীয় কোনো দেশের চেয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমের পিস হাউস বা ফ্রিডম হাউসে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এক টুইট বার্তায় বহুল প্রতিক্ষীত ওই বৈঠকের স্থানের ব্যাপারে ট্রাম্প তার বিবেচনার কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বৈঠকের জন্য বেশ কিছু দেশ বিবেচনায় আছে। কিন্তু দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ‘পিস হাউস’ বা ‘ফ্রিডম হাউস’ই তৃতীয় কোনো দেশের চেয়ে অধিক ‘প্রতিনিধিত্বশীল’, ‘স্থায়ী’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ’ জায়গা হবে? জানতে চাচ্ছি মাত্র!
আরও পড়ুন : পশুর মতো হামলে পড়লো ওরা! (ভিডিও)
মার্কিন এ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আগামী মে অথবা জুনের দিকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে ওই বৈঠক হতে পারে। তবে বৈঠকের স্থানের ব্যাপারে এখনো আলোচনা চলছে।
Advertisement
Numerous countries are being considered for the MEETING, but would Peace House/Freedom House, on the Border of North & South Korea, be a more Representative, Important and Lasting site than a third party country? Just asking!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 30, 2018রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টকসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের নাম চির-বৈরী এ দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের জন্য আলোচিত হচ্ছে।
এদিকে, গত শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) প্রায় সাড়ে ছয় দশকের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঐতিহাসিক এক বৈঠকে বসেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মু জ্যায়ে ইন।
আরও পড়ুন : ‘নতুন যুগের সূচনা’
Advertisement
কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন এ দুই প্রেসিডেন্ট। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে বিরল ওই বৈঠকের পর কিম ও মুনের যৌথ এ ঘোষণা আসে।
এর আগে, সীমান্তের ডিমার্কেশন লাইনের সিমেন্টের ব্লকের দু’পাশে দাঁড়িয়ে হাত মেলান চির বৈরী উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দু’নেতা। এরপর দু’জনই দু’দেশের বিভাজন রেখা অতিক্রম করে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। সূচনা হয় নতুন এক যুগের।
এসআইএস/আরআইপি