সারা দেশে প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন ১০টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৩ হাজার ৭১৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর অসাধুপন্থা অবলম্বন করায় ৮৯ পরীক্ষার্থী ও সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, সোমবার আট সাধারণ বোর্ডের অধীনে বাংলা (আবশ্যিক), সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কুরআন মাজিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথমপত্র (আবশ্যিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রথম দিন ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
১০ শিক্ষা বোর্ডের চিত্র-
Advertisement
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিন ঢাকা বোর্ডে মোট দুই হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অসাধুপন্থা অবলম্বন করায় এই বোর্ডে সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। রাজশাহী বোর্ডে অনুপস্থিতির সংখ্যা এক হাজার ২৫৬ জন, বহিষ্কার করা হয়নি একজনকেও।
কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতি এক হাজার ১৯ জন। যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির সংখ্যা এক হাজার ৬১ জন, বহিষ্কার করা হয়েছে একজন পরীক্ষার্থীকে। চট্টগ্রাম বোর্ডে অনুপস্থিতি ৯৯৮ জন। সিলেট বোর্ডে ৭০৬ জন। এ বোর্ডে চার শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
বরিশাল বোর্ডে অনুপস্থিতি ৬৫১ জন, বহিষ্কার করা হয় ছয় পরীক্ষার্থীকে। দিনাজপুর বোর্ডে অনুপস্থিতির সংখ্যা এক হাজার ৬৩ জন, বহিষ্কার দুই পরীক্ষার্থী।
অন্যদিকে, মাদরাসা বোর্ডে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা দুই হাজার ৪৮৬ জন। এ বোর্ডে ৪০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। কারিগরি বোর্ডে অনুপস্থিতি এক হাজার ৯৮৯ জন। এই বোর্ডে ৩২ শিক্ষার্থী এবং তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়।
Advertisement
সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৯ জন। অনুপস্থিতির সংখ্যা ১৩ হাজার ৭১৮। মোট ৮৯ শিক্ষার্থী ও সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়।
তথ্যমতে, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গেছে। এবার মোট দুই হাজার ৫৪১ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যা গত বছরের তুলনায় ৪৪টি কমেছে। এছাড়া বিদেশি সাতটি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২৯৯ জন। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বরাদ্দ আছে।
এবারও শুরুতে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হয়। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সব শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। ১৪ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে। পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এমএইচএম/জেডএ/এমএস