নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানটিতে সপরিবারে ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রোগ্রাম অফিসার সানজিদা হক বিপাশা। স্বামী রফিক জামান ও ছেলে অনিরুদ্ধও তার সঙ্গে ছিলেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
যদিও কোনো দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি জানা যায়নি। তবে স্বজনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এদিকে নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে পরিকল্পনা বিভাগের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) দুই নারী কর্মকর্তার থাকার কথাটি নিশ্চিত করেছেন জিইডির সদস্য ড. সামসুল আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। নেপাল দূতাবাসে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাস এখন পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছে না।
সময় যতই বাড়ছে রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের অফিসে নেপালগামী বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনদের ভিড়ও ততই বাড়ছে। তাদের কান্নায় অফিসের পরিবেশ যেন ভারি হয়ে উঠছে।
Advertisement
বিমানটিতে ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিধ্বস্ত বিমানে দুই শিশুসহ ৩৩ বাংলাদেশি ছিলেন বলেও জানান তারা। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেছেন, ‘বিমানটি উড্ডয়নের দেড় ঘণ্টা পর আমরা দুর্ঘটনার সংবাদ পাই। ঘটনার পর থেকে ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট বন্ধ রয়েছে। এয়ারপোর্ট খুললে আমরা আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পাঠাব।’
তিনি বলেন, দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্লাইটে ৬৫ জন বয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, একজন মালদ্বীপ, একজন চাইনিজ এবং নেপালি ৩২ যাত্রী ছিলেন।’
Advertisement
এআর/এসএইচএস/আরআইপি