তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর শুরু হলো ৬ ম্যাচের মেগা ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই ডারবানের কিংসমিডে সফরকারী ভারতের মুখোমুখি হলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের ভালোই চেপে ধরেছে ভারতীয়রা। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি যদি সেঞ্চুরি না করতেন, তাহলে আরও বেশি বিপদে পড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
Advertisement
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ডু প্লেসির সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতের সামনে ৮ উইকেটে ২৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য বিরাট কোহলিদের করতে হবে ২৭০ রান।
ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতেই মূলতঃ নাকাল হতে হয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। কুইন্টন ডি কক আর হাশিম আমলা মিলে সূচনাটা খুব বেশি ভালো করতে পারলেন না। মাত্র ১৬ রান করে আউট হয়ে যান আমলা।
৩৪ রান করেন কুইন্টন ডি কক। অথচ, ডি ককের পরিচিতি মারমুখি ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে ৪৯ বলে এলা ৩৪ রানের ইনিংস। এইডেন মারক্রাম নামেন চার নম্বরে; কিন্তু আউটে হলেন মাত্র ৯ রান করে।
Advertisement
ভারতীয় বাম হাতি স্লো চায়নাম্যান কুলদিপ যাদবের ঘূর্ণিতেই একে একে উইকেট হারিয়েছেন জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার এবং ক্রিস মরিস। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন ডুমিনি।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডু প্লেসিস শুধু একপাশ আগলে রাখাই নয়, রানের চাকাও সচল রাখেন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই একটা লড়াকু স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১২ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১২০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসিস।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চায়নাম্যান কুলদিপ যাদব নেন ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ইয়ুযবেন্দ্র চাহাল নেন ২ উইকেট এবং জসপ্রিত বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমার নেন ১ টি করে উইকেট।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement