ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ২০ জানুয়ারি। লিগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীনই শুরু হবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট এই আসর। লিগ শুরু হতে এক তিন সপ্তাহ মাত্র বাকি। এখনও কেউ জানে না, কে কোন দলে খেলবে।
Advertisement
তবে যেহেতু বোর্ড থেকেই পারশ্রিমিক নির্ধারণ করে, ক্যাটাগরি ভাগ করে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মত খেলোয়াড় ভাগ করে দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে, এ কারণে এসব নিয়ে আর কারো মাথা ব্যাথা নেই। সব চিন্তা এখন শুধু ক্লাব ক্রিকেট পরিচালনা কমিটি সিসিডিএমের। তারাও চেষ্টা করছে যথাসময়ে সব কিছু করার।
এ লক্ষ্যে সাত ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের ভাগ করে প্রত্যেকের আলাদা আলাদ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সিসিডিএম। ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য প্রিমিয়ার লিগের জন্য শুরুতেই রাখা হয়েছে ১২ জন আইকন ক্রিকেটারকে। যাদের মূল্য ৩৫ লাখ থেকে শুরু। আইকন ১২ ক্রিকেটারের মূল্য দুই রকম। কারও ৩৫ লাখ এবং কারো মূল্য ২৫ লাখ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ক্রিকেট কমিটি অব মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম)।
এর মধ্যে জাতীয় দলে খেলা সিনিয়র ৫ ক্রিকেটারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ করে। তারা হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকি ৭ আউকন খেলোয়াড়ের মূল্য ২৫ লাখ করে। এই সাতজন হলেন- ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসির হোসেন, লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয় এবং রুবেল হোসেন।
Advertisement
এই ১২ ক্রিকেটারকে ১জন করে দলভূক্ত করতে পারবে ১২টি ক্লাব। আইকন ১২জনের বাইরে ২৪জনকে রাখা হয়েছে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে। ২৩ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ পর্যন্ত। এর মধ্যে একজনের মূল্য শুধুমাত্র ২৩ লাখ। তিনি মুমিনুল হক সৌরভ। ৩ জনের মূল্য ২২ লাখ করে। তারা হচ্ছেন সাইফুদ্দিন, মোহাম্মদ মিঠুন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সৌম্য সরকারকে রাখা হয়েছে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে। মূল্য ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। এছাড়া এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রয়েছেন জহুরুল ইসলাম অমি, শুভাগত হোম, শাহরিয়ার নাফীস, শোরাররফ রুবেল, জিয়াউর রহমান, অলক কাপালি, আরিফুল হক, ফরহাদ রেজা, সানজামুল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, আল আমিন জুনিয়র, নাদিফ চৌধুরী, মেহেদী মারূফ, তাইজুল ইসলাম, আবুল হাসান রাজু, আবদুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং নাজমুল অপু। এদের সবার পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা করে।
গত এক বছরের পারফরম্যান্স অনেক বেশি খারাপ হওয়ায় পেসার তাসকিন আহমেদ আইকন তো দুরে থাক, এ প্লাস ক্যাটাগরিতেও থাকতে পারলেন না। তিনি রয়েছেন এ ক্যাটাগরিতে। যেখানে পারিশ্রমিক ১৮ লাখ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত। তাসকিন পাচ্ছেন ১৮ লাখ টাকা। আরেক পেসার আল আমিন হোসেন পাবেন ১৫ লাখ টাকা। মোহাম্মদ আশরাফুলও থাকছেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
১৮ লাখ করে পাবেন সোহাগ গাজী, নুরুল হাসান সোহান, নাঈম ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানভির হায়দার, তুষার ইমরান, সাকলায়েন সজীব, কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং আবু হায়দার রনি। ১৭ লাখ করে পাবেন আরাফাত সানি, নাবিল সামাদ। ১৬ লাখ পাচ্ছেন একজন- ইমতিয়াজ হাসান তান্না। ২৭ জন রয়েছেন এ ক্যাটাগরিতে।
Advertisement
২৬জনকে রাখা হয়েছে ‘বি’প্লাস ক্যাটাগরিতে। এদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১২ লাখ টাকা। ৪৪জনকে রাখা হয়েছে বি ক্যাটাগরিতে। এদের পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ১০ লাখ, সর্বনিম্ন ৮ লাখ টাকা। সি প্লাস ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ৩০জনকে। এদের পারিশ্রমিক সবারই ৫ লাখ টাকা করে। বাকি ৬১জনকে রাখা হয়েছে সি ক্যাটাগরিতে। যাদের পারিশ্রমিক সবারই ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে।
মোট ২২৭জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে প্লেয়ার ড্রাফটের তালিকায়। ২০ জানুয়ারি নির্ধারণ হয়ে যাবে কোন খেলেয়াড় খেলবেন কোন ক্লাবের হয়ে। উল্লেখ্য, ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬ মাস নিষেধাজ্ঞার কারণে তালিকায় নাম নেই সাব্বির রহমানের।
আইএইচএস/পিআর