বিপিএলেই আল আমিন হোসেনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই আল আমিনকে আবারও অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সামনে পাঠানো হয়। সেখানেই আলাদাভাবে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা এই পেসারকে। রিভিউ টেস্টে তার অ্যাকশনে কোনোই সমস্যা ধরা পড়েনি।
Advertisement
বৃহস্পতিবারই সংবাদ মাধ্যমকে বোলিং অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের যে অভিযোগ আল আমিনের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা থেকে মুক্ত তিনি।
বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান, বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস মিডিয়াকে বলেন, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, আল-আমিনের বোলিংয়ে কোনো ধরনের অবৈধ অ্যাকশন নেই। চলতি বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই খেলার অনুমতি পাচ্ছে সে।’
বিপিএলে বোলিং অ্যাকশন অবৈধ অভিযোগ ওঠার পরই পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয় আল আমিনকে। এরই অংশ হিসেবে গত রোববারই মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী বোলিং অ্যাকশন ঠিক আছে কি না, নির্ধারিত ডিগ্রির বেশি হাত বেঁকে যাচ্ছে কি না এসব দেখা হয়।
Advertisement
জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা তাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা তাকে জানিয়েছি, যদি কোনো বোলার পরপর দুই বছর দুইবার অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য দায়ী হয় তাহলে তাকে কমপক্ষে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল আমিন জানতো তার কয়েকটা ডেলিভারিতে হয়তো সমস্যা রয়েছে। যেগুলোতে সে নিজেকে সংশোধন করে নেয়। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তার বোলিংয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টেস্ট চলাকালে একবার আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপর ভারতে এসে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাকে। তবে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়নি। তাকে মুক্ত ঘোষণা করে আইসিসি।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement