ম্যাচটির কখনও মনে হচ্ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস জিতে যাচ্ছে, আবার কখনও মনে হচ্ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই জিতবে। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ২ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে দিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ের ফলে ৬টির মধ্যে ৫ ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল তামিম ইকবালের কুমিল্লা। পরাজয়ের ফলে দুই নম্বরে নেমে এলো সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস।
Advertisement
১২৯ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশ চাপে ছিল কুমিল্লা। তবে একপাশ আগলে টেস্ট স্টাইলে খেলে যেতে থাকেন কুমিল্লার পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিক। তার এই ধৈয্য ধরে থাকা ব্যাটিংই শেষ পর্যন্ত জয় কুমিল্লাকে জয় এনে দেয়।
শেষ ওভারটি করতে যখন মোহাম্মদ সাদ্দাম বোলিং মার্কে আসেন, তখন কুমিল্লার দরকার ছিল ৯ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন শোয়েব মালিক। সাদ্দামের প্রথম বলটিই চারে পরিণত করেন তিনি। স্বস্তি ফেরে কুমিল্লা শিবিরে। পরের বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি শোয়েব। তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চারে পরিনত করেন তিনি। সাথে সাথেই ঢাকার সমান হয়ে যায় কুমিল্লার স্কোর। পরের বলটিতেই সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক।
কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ বলে হার না মানা ৫৪ রান করেন শোয়েব মালিক। তার ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারির মার। কুমিল্লার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ইমরুল কায়েস। আর তামিমের ব্যাট থেকে আস ১৮ রান।
Advertisement
ঢাকার হয়ে নারিন ও মোহাম্মদ আমির ২টি করে উইকেট পান। আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ সামি ১টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরার পুরুস্কার পেয়েছেন হাসান আলি। ২০ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন তিনি।
এমএএন/আইএইচএস/এমএস