বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরেও বেশ ভাল করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অথচ এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দুই-একজন বাদে প্রায় দেশি ক্রিকেটারই বলতে গেলে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
Advertisement
মূলতঃ বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে ৫ বিদেশি খেলানোর কারণেই দেশি ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দেশি ক্রিকেটাররা আসলে খেলারই সুযোগ পাচ্ছে না, ৫জন করে বিদেশি খেলানোর কারণে।
সে কারণেই দেশের ক্রিকেটারদের স্বার্থে বিপিএলের আদলে আরেকটি টি-টোয়েন্টি লিগের, অর্থাৎ আরেকটি বিকল্প বিপিএলের আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ (শুক্রবার) সিলেট সিক্সার্স এবং রাজশাহী কিংসের ম্যাচের পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ তথ্য জানান।
বিকল্প টুর্নামেন্টটি আয়োজন নিয়ে মল্লিক বলেন, ‘স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করার জন্য আমরা গভর্নিং কাউন্সিলের অধীনে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো। যেটাতে শুধুমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটাররা খেলবে। কোনো বিদেশি থাকবে না। তবে এটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হবে না। চার-পাঁচটা দল খেলবে। উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল এভাবে ভাগ করা হতে পারবে দলগুলোকে।’
Advertisement
এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে বিসিবির বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে, তবে এখনও দিন-তারিখ বা ভেন্যু কিছু ঠিক হয়নি বলেও তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, ‘খেলোয়াড়রা যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাব এনে লড়াই করতে পারে বিপিএলে, সে জন্যই এটির ভাবনা। প্রাথমিকভাবে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে, কখন, কোথায় সেটা হবে, তা চূড়ান্ত করিনি। তবে বলতে পারি বিপিএলের আগে এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যাতে খেলতে পারে সেটি দেখেই তারিখ ঠিক করা হবে।’
বিপিএল শুরুর আগেও স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতো বিসিবি। সবশেষ ২০১৩ সালে সিলেটে হয়েছিল বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
এমএএন/আইএইচএস/এমএমআর/এমএস
Advertisement