রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিটেইল এরিয়া প্লানের (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আলোচকরা।
Advertisement
রোববার রাজউক ভবনে ড্যাপ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এমন সংশয় প্রকাশ করেন তারা। সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে রেজা সুমন বলেন, আগের ড্যাপ নকশায় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন এলাকাকে আবাসিক এলাকা হিসেবে দেখানো হয়। নতুন ড্যাপ নকশায় এ ধরনের বিচ্যুতি আছে কি না তা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার কথা বারবার উলেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার আশপাশের জলাশয়ের স্থান নির্ধারণ করতে না পারলে জনদুর্ভোগ কমবে না। ২০১০ সালের ড্যাপের প্ল্যানে ভুল ছিল। তাই সময় নিয়ে নির্ভুল ড্যাপ প্লান এলাকা করার পরামর্শ দেন তিনি।
Advertisement
এদিকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারের সেক্রেটারি দেওয়ান সামসুল আলী বলেন,কাজ করার প্রক্রিয়া ভালো। কিন্তু কী ধরনের সড়ক হবে, ভূমি কী পরিমাণের এসব বিষয় এখনো স্পষ্ট হয়নি। নতুন ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে ঢাকার তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
আলোচকরা আরও বলেন, নতুন ড্যাপ প্লানে প্রতি একর জমিতে ৮০ জন লোক বসবাসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কী পরিমাণ জমি রয়েছে এবং সেখানে কী ধরনের সুবিধা রাখা হবে এসব দিক এখনো স্পষ্ট হয়নি।
রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্লানের একটা খসড়া তৈরি করে সাধারণ মানুষ নিয়ে গণশুনানি করা হবে।
তিনি ড্যাপকে নির্দেশ দেন, যেন রাজধানীর খাল, বিল ও নদী তাদের প্লানে আসে। একই সঙ্গে এসব জলাশয় রক্ষায় তারা যেন ভূমিকা রাখতে পারেন।
Advertisement
সভা থেকে জানানো হয়, ১৯৯৫ সালে নতুন আঙ্গিকে ঢাকা শহরের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, যা স্ট্রাকচার প্লান নামে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে অনুমোদিত এই প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এই পরিকল্পনার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে ঢাকাসহ পাশ্র্ববর্তী এলাকার জন্য ড্যাপ তৈরি করা হয়। ২০১৫ সালে স্ট্রাকচার প্লান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার পর নতুন প্লান তৈরি করা হয়েছে। এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাপ পিডি আশরাফুল ইসলামসহ ড্যাপের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা।
এএস/জেডএ/জেআইএম