পেয়ারা বেগম (৪০)। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মাথা ও হাত-পায়ের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কয়েকবার তার রোগের কথা বলেছেন। চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ খেয়েছেন। তবে মাথা ও হাত-পায়ের যন্ত্রণা কমেনি।
Advertisement
সম্প্রতি পেয়ারা বেগমের স্বামী সাত্তার খলিফা এক ওঝার (ফকির) সন্ধান পান। তন্ত্রমন্ত্র ও ঝাড়-ফুঁক দিয়ে তিনি সব রোগ ভালো করে দেন। এরপর শুরু হয় পেয়ারা বেগমের চিকিৎসা। গত তিনদিন ধরে ঘরের সামনে কলাগাছ পুঁতে ঢোল পিটিয়ে তন্ত্রমন্ত্র ও ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চলছে চিকিৎসা।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত হাপানিয়া গ্রামে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তন্ত্রমন্ত্র ও ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা চলছে পেয়ারা বেগমের।
পেয়ারা বেগমের স্বামী সাত্তার খলিফা জানান, কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী স্বপ্ন দেখেন তাকে (পেয়ারা) সাপে কেটেছে । তারপর থেকে মাথা ও হাত-পায়ের যন্ত্রণা শুরু। বিষয়টি স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়। তবে যন্ত্রণা কমেনি। উপায়ন্তর না দেখে তিনি পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের সাহেবরামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে কথিত গ্রাম্য ওঝা (ফকির) ওলিউজ্জামানের শরণাপন্ন হন। রোগ নিরাময়ে ৩০ হাজার টাকা চুক্তি হয় তার সঙ্গে। তিনদিন ধরে ঘরের সামনে কলাগাছ পুঁতে ঢোল পিটিয়ে তন্ত্রমন্ত্র প্রয়োগ করে চিকিৎসা করছেন ওলিউজ্জামান।
Advertisement
এ বিষয়ে ওঝা ওলিউজ্জামান বলেন, রোগ দেন উপরওয়ালা । আবার ভালোও করেন তিনি। রোগী সুস্থ করতে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি।
সাইফ আমীন/আরএআর/আইআই