জেলা প্রশাসকসহ ৬ কর্মকর্তাকে সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে সপ্তাহব্যাপী ৯ম প্রাণ ফ্রুটিক্স ইলিশ উৎসব শেষ হয়েছে। চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইলিশ উৎসবের সমাপনী দিনে প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
শনিবার বিকেলে হারানো দিনের গান ও মেঘনা পাড়ের সুন্দরী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী উৎসবের সমাপনী দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইলিশ বিষয়ক আলোচনা এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ এস এম দেলওয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, চতুরঙ্গের উৎসবের ফলে চাঁদপুরের প্রতিটি মানুষ ইলিশকে লালন করে। সারা বিশ্ব জানে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। কিছুদিন আগে আমি আমেরিকায় ব্যক্তিগত সফরে গেলে সেখানে সবাই আমাকে ইলিশের বাড়ির ডিসি বলে সম্বোধন করেছে। প্রাণ কোম্পানি ইলিশ উৎসবকে সহায়তা করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
Advertisement
তিনি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর মা ইলিশ অভিযান। আগের মতো এবারও অপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। বাংলাদেশে ইলিশের যে ৫টি অভয়াশ্রম আছে, তার মধ্যে চাঁদপুর সর্ববৃহৎ অভয়াশ্রম। চাঁদপুরে মা ইলিশ ডিম দিলে, জাটকা বড় হয়ে সমুদ্রে যাবে। চাঁদপুরের জেলেরা ও নাগরিকরা সর্বোচ্চ শ্রম দিয়েছেন। আমি আশা করি আগামী বছর এবারের চেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। সারা বিশ্ব জানে বাংলাদেশ ইলিশের মালিক। চাঁদপুরবাসী ইলিশের জন্য গর্ব করতে পারে।
ইলিশ উৎসবের আহ্বায়ক কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব হারুন আল রশীদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ এস এম দেলওয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।
সবশেষে রাত ৮টায় প্রাণ ফ্রুটিক্স-এর সৌজন্যে তারকা শিল্পীদের জমকালো সংগীতানুষ্ঠান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
ইকরাম চৌধুরী/এআরএস
Advertisement