মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে আরাকান রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পালিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবাধে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এদের মধ্যে রয়েছেন অসংখ্য নারী-শিশু ও পুরুষ। উখিয়ার ঘুনধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্ট হয়ে বালুখালীর বিভিন্ন পাহাড়ের টিলায় কোনোমতে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার।
Advertisement
বিশুদ্ধ পানি না পেলেও আশপাশের পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতেই ভরসা করছেন তারা, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ইতোমধ্যে এসব দূষিত পানি পান করে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে পালংখালী ইউনিয়নের থাইনখালী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের উঁচুতে ও পাদদেশে পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তুলেছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো। তবে আশপাশে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির উৎস। যদিও অনেককে হেঁটে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে স্থানীয়দের বাড়ি থেকে নলকূপের পানি আনতে হচ্ছে। কিন্তু সেটাও অনেক সীমিত।
৭ দিন আগে মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছেন ৮৫ বছর বয়সী শরীফ হোসেন। বর্তমানে থাইনখালীর পাহাড়ের ঝুপড়িতে দিন কাটাচ্ছেন এ বৃদ্ধ।
Advertisement
খাবার পানির সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ৭ দিন ধরে পানি ছাড়া কিছুই খাইনি। যে পানি খেয়েছি তাও বিশুদ্ধ নয়। এ পানি খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি। তবুও বাধ্য হয়ে খাচ্ছি।
পাহড়ের উঁচু থেকে সমতলে পানি আনতে যাওয়ার সময় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ইকবাল নামে এক কিশোরের সঙ্গে।
সে জানায়, এখানে খাদ্যের সংকটের চেয়ে খাবার পানির সংকট বেশি। ৩-৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি আনতে হয় আমাদের।
আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/আইআই
Advertisement