বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাণিজ্যে জটিলতা দূর এবং দ্রুত কাজ সম্পাদন করতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিস, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ইনফরমেশন পোর্টাল, গ্লোবাল ট্রেড ডানা চালু করা হয়েছে। এখন এ সব কাজ অন-লাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ‘হাইলেভেল ডায়ালগ অন এনহানসিং রিজিওন্যাল ট্রেড থ্রো ইফেকটিভ পার্টিসিপেশন ইন দি ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক ডায়ালগে প্রথম প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তৃতা প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন অতি অল্প সময়েই ব্যবসায়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছে না। আমদানি-রফতানি সহজ করতে বিমান-সমুদ্র-স্থল বন্দর, কাস্টমস, ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৯ লাখ এবং ৬ কোটি ৭ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং সুবিধা দেশের মানুষ ভোগ করছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এ বছর ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্ভিস সেক্টরসহ এ রফতানি আয়ের পরিমাণ হবে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
Advertisement
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইউএনস্ক্যাপ)-এর ৭২তম সেশনে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রোস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক-এ বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ এ চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। এছাড়া চীন ও কম্বোডিয়া এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ।
পরে তোফায়েল আহমেদ কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এসকাপ-এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামসাদ আক্তারের সভাপতিত্বে ডায়ালগে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কিয়েটচাই সোফাসটিনফং, কম্বোডিয়ার কমার্স মিনিস্টার পান সোরাসাক এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।
এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস
Advertisement