মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কেটের নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। একই সঙ্গে ৫ নম্বর কেটে নেয়া কেন অবৈধ নয়, সেই বিষয়ে রুলে জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, আগামীকাল (সোমবার) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
তিনি বলেন, রিটে নতুন শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে- সরকারের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
Advertisement
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৬নং অনুচ্ছেদে দ্বিতীয়বার পরিক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কাটা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এটা সমতার লঙ্ঘন। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
ইউনূস আলী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।’ সুতরাং এ সিদ্ধান্ত শিক্ষনীতির পরিপন্থী। তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয়বার ভর্তির পরীক্ষা দেয়া সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ১৫২ এর (১) অনুচ্ছেদের প্রথা বা আইন অনুযায়ী সব ছাত্রছাত্রীর সমান অধিকার। সংবিধানের ২৬. ২৭, ২৮, ৩১ এবং ৪০ পরিপন্থী।
এর আগে এ বিষয়ে ব্যাখা দেয়ার বিষয়ে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো জবাব না পাওয়ায় এই রিট আবেদন করেন তিনি।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/এমএস/আইআই