নারায়ণগঞ্জে মানুষের বাসায় কাজ করতাম। ভেবেছিলাম ওইসব কাজ করে যে টাকা পাব তা দিয়ে ছেলে আবদুর রাজ্জাকের চিকিৎসার করাব। কিন্তু কাজটা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন অর্থের অভাবে ছেলেকে ঠিকমতো ডাক্তারও দেখাতে পারছি না।
Advertisement
এভাবেই বললেন ১৫ মাস বয়সী শিশু আবদুুর রাজ্জাকের মা রিনি বেগম। রাজ্জাকের জন্মগত হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। রাজ্জাকের বাবা মোস্তা মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় রিকশা চালান। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাঁড় ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রাজ্জাক তৃতীয়। বড় বোন মিতু আক্তারের বয়স ৯ বছর ও ছোট বোন রিতু আক্তারের বয়স ৭ বছর। নারায়ণগঞ্জে মিতু দ্বিতীয় শ্রেণি ও রিতু প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
জন্মের ১৫ দিন পর রাজ্জাক হঠাৎ অসুস্থ হলে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর চিকিৎসকরা দেখেন, রাজ্জাকের হার্টে ছিদ্র ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। এরপর ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেও চিকিৎসা চলে রাজ্জাকের। কিন্তু চিকিৎসা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে বাবা-মায়ের জন্য।
Advertisement
মোস্তা মিয়া বলেন, পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ডাক্তার বলেছেন, রাজ্জাকের হার্টে ছিদ্র ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না। তারপরও ছেলের চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না।
মোস্তা মিয়া ও রিনি বেগম সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। যোগাযোগ মোবাইল নং ০১৯৩১-৯৩৩৫১২ ও ০১৭৭৯-৬৫৫০৮২।
রওশন আলম পাপুল/এমএএস/পিআর
Advertisement